1
ফরীশী ও সদ্দূকীরা যীশুরকাছেএসেতাঁকে পরীক্ষা করতে চাইলেন৷ তাই তারা ঐশ্বরিক শক্তির চিহ্নস্বরূপ কোন অলৌকিক কাজ করে দেখাতে বললেন৷
2 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, ‘সন্ধ্যা হলে তোমরা বলে থাকো দিনে আবহাওয়া ভাল থাকবে, কারণ আকাশের রঙ লাল হয়েছে৷
3 আবার সকাল বেলা বলে থাকো, আজকে ঝোড়ো আবহাওয়া চলবে কারণ আজ আকাশ লাল ও অন্ধকার হয়েছে৷ তোমরা আকাশের অবস্থা ভালই বিচার করে বোঝ, অথচ কালের চিহ্ন বুঝতে পারো না৷
4 এ যুগের দুষ্ট ও ভ্রষ্টাচারী লোকেরা চিহ্নের খোঁজ করে, কিন্তু য়োনার চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্নই তাদের দেখানো হবে না৷’ এরপর যীশু তাদের ছেড়ে সেখান থেকে চলে গেলেন৷
5 যীশু ও তাঁর শিষ্যরা হ্রদের ওপারে যাবার সময় সঙ্গে রুটি নিয়ে য়েতে ভুলে গিয়েছিলেন৷
6 তখন যীশু তাদের বললেন, ‘তোমরা সাবধান! ফরীশী ও সদ্দূকীদের খামির থেকে সতর্ক থেকো৷’
7 শিষ্যরা নিজেদেরমধ্যে বলাবলি করতেলাগলেন, ‘আমরা রুটিআনিনি বলে সন্ভবতঃ উনি এইকথা বলছেন?’
8 তাঁরা কি বলাবলি করছেন, তা জানতে পেরে যীশু বললেন, ‘হে অল্প-বিশ্বাসী মানুষ, তোমরা নিজেদের মধ্যে কেন বলাবলি করছ য়ে তোমাদের রুটি নেই?
9 তোমরা কি বোঝ না অথবা তোমাদের কি মনে নেই সেই পাঁচ হাজার লোকের জন্য পাঁচ খানা রুটির কথা আর তারপরে কত টুকরি তোমরা ভর্তি করেছিলে?
10 আবার সেইচার হাজার লোকের জন্য সাতখানা রুটির কথা, আর কত টুকরি তোমরা তুলে নিয়েছিলে?
11 তোমরা কেন বুঝতে পার না য়ে আমি তোমাদের রুটির বিষয় বলিনি? আমি তোমাদের ফরীশী ও সদ্দূকীদের খামির থেকে সতর্ক থাকতে বলেছি৷’
12 তখন তাঁরা বুঝতে পারলেন য়ে রুটির খামির থেকে তিনি তাঁদের সতর্ক হতে বলেন নি, কিন্তু বলেছিলেন তাঁরা য়েন ফরীশী ও সদ্দূকীদের শিক্ষা থেকে সাবধান হন৷
13 এরপর যীশু কৈসরিয়া, ফিলিপী অঞ্চলে এলেন৷ তিনি তাঁর শিষ্যদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘মানবপুত্রকে?’ এবিষয়ে লোকে কি বলে?
14 তাঁরা বললেন, ‘কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিস্মদাতা য়োহন, কেউ বলে এলীয়,আবার কেউ বলে আপনি যিরমিয়বা ভাববাদীদের মধ্যে কেউ একজন হবেন৷’
15 তিনি তাঁদের বললেন, ‘কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে?’
16 এর উত্তরে শিমোন পিতর বললেন, ‘আপনি সেইমশীহ (খ্রীষ্ট), জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র৷’
17 এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, ‘য়োনার ছেলে শিমোন, তুমি ধন্য, কোনো মানুষের কাছ থেকে একথা তুমি জাননি, কিন্তু আমার স্বর্গের পিতা একথা তোমায় জানিয়েছেন৷
18 আর আমিও তোমাকে বলছি, তুমি পিতরআর এইপাথরের ওপরেই আমি আমার মণ্ডলী গেঁথে তুলব৷ মৃত্যুর কোন শক্তিতার ওপর জয়লাভ করতে পারবে না৷
19 আমি তোমাকে স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলি দেব, তাতে তুমি এইপৃথিবীতে যা বাঁধবে তা স্বর্গেও বেঁধে রাখা হবে৷ আর পৃথিবীতে যা হতে দেবে তা স্বর্গেও হতে দেওযা হবে৷’
20 এরপর যীশু তাঁর শিষ্যদের দৃঢ়ভাবে নিষেধ করে দিলেন, য়েন তারা কাউকে না বলে তিনিইখ্রীষ্ট৷
21 সেই সময় থেকে যীশু তাঁর শিষ্যদের জানাতে লাগলেন য়ে তাঁকে অবশ্যইজেরুশালেমে য়েতে হবে৷ আর সেখানে কিভাবে তাঁকে ইহুদী নেতা, প্রধান যাজক ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হবে৷ তাঁকে মেরে ফেলা হবে ও তিন দিনের মাথায় তিনি মৃত্যুলোক থেকে বেঁচে উঠবেন৷
22 তখন পিতর তাঁকে একপাশে ডেকে নিয়ে ভর্ত্সনার সুরে বললেন, ‘প্রভু, এসবের হাত থেকে ঈশ্বর আপনাকে রক্ষা করুন৷ এর কোন কিছুই আপনার প্রতি ঘটবে না৷’
23 যীশু পিতরের দিকে ফিরে বললেন, ‘আমার কাছ থেকে দূর হও শয়তান! তুমি আমার বাধা স্বরূপ! তুমি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে এ বিষয় চিন্তা করছ, ঈশ্বরের যা তা তুমি ভাবছ না৷’
24 এরপর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন ‘কেউ যদি আমায় অনুসরণ করতে চায় তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক আর নিজের ক্রুশ তুলে নিয়ে আমার অনুসারী হোক৷
25 য়ে কেউ নিজের জীবন রক্ষা করতে চায়, সে তা হারাবে৷ কিন্তু য়ে আমার জন্য তার নিজের প্রাণ হারাতে চাইবে সে তা রক্ষা করবে৷
26 কেউ যদি সমস্ত জগত্ লাভ করে তার প্রাণ হারায় তবে তার কি লাভ? প্রাণ ফিরে পাবার জন্য তার দেবার মতো কি-ইবা থাকতে পারে?
27 মানবপুত্র যখন তাঁর স্বর্গদূতদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর পিতার মহিমায় আসবেন, তখন তিনি প্রত্যেক লোককে তার কাজ অনুসারে প্রতিদান দেবেন৷
28 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যাঁরা এখানে দাঁড়িয়ে আছে তাদের মধ্যে এমন কেউ কেউ আছে যার কোনও মতে মৃত্যু দেখবে না, য়ে পর্যন্ত মানবপুত্রকে তাঁর রাজ্যে আসতে না দেখে৷’