Home |  | Audio |  | Index |  | Verses


যোহন John

অধ্যায় : 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21
1 যীশু পথে হাঁটছিলেন, সেই সময় তিনি একজন লোককে দেখতে পেলেন য়ে জন্ম থেকেই অন্ধ৷
2 যীশুর অনুগামীরা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, ‘গুরু, কার পাপে এ অন্ধ হয়ে জন্মেছে? এর পাপে অথবা এর বাবা-মার পাপে?’
3 যীশু বললেন, ‘এই লোকটির বা এর বাবা-মার পাপের জন্য য়ে এ অন্ধ হয়ে জন্মেছে তা নয়, বরং এই ব্যক্তি অন্ধ হয়ে জন্মেছে যাতে আমি যখন তাকে সুস্থ করি, তখন লোকে ঈশ্বরের শক্তির প্রকাশ দেখতে পায়৷
4 যতক্ষণ দিন আছে ততক্ষণ যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর কাজ আমাদের করে য়েতে হবে৷ যখন রাত আসবে তখন আর কেউ কাজ করতে পারবে না৷
5 আমি যতক্ষণ এই জগতে আছি, আমিই এই জগতের আলো৷’
6 এই কথা বলার পর তিনি মাটিতে থুতু ফেললেন৷ আর মুখের সেই লালা দিয়ে মণ্ড তৈরী করে, তা অন্ধ লোকটির চোখে লাগিয়ে দিলেন৷
7 এরপর যীশু সেই অন্ধ লোকটিকে বললেন, ‘শীলোহ সরোবরে গিয়ে ধুয়ে ফেল৷ (‘শীলোহ’ অনুবাদ করলে এই নামের অর্থ ‘প্রেরিত’৷)’ তখন সে গিয়ে ধুয়ে ফেলল আর দৃষ্টিশক্তি লাভ করে ফিরে এল৷
8 তখন সেই লোকটির প্রতিবেশীরা ও যাঁরা তাকে ভিক্ষা করতে দেখত তারা বলল, ‘এ কি সেই লোক নয় য়ে বসে বসে ভিক্ষা করত?’
9 কেউ কেউ বলল, ‘হ্যাঁ, সেই তো৷’ আবার অন্যরা বলল, ‘না, এই লোকটা তারই মতো দেখতে৷’ কিন্তু সে বলল, ‘আমি সেই একই লোক৷’
10 তখন তারা তাকে বলল, ‘তুমি কি করে দৃষ্টিশক্তি লাভ করলে?’
11 সে এর উত্তরে বলল, ‘যীশু নামের লোকটি মণ্ড তৈরী করে, আমার চোখে তা লাগিয়ে দিলেন, আর বললেন, ‘শীলোহ সরোবরে যাও ও তোমার চোখ ধুয়ে ফেল৷’ তখন আমি গেলাম ও ধুয়ে ফেললাম আর তখনই দৃষ্টিশক্তি লাভ করলাম৷”
12 তারা তাকে বলল, ‘সেই যীশু কোথায়?’সে বলল, ‘আমি জানি না৷’
13 য়ে লোকটি আগে অন্ধ ছিল তাকে তারা ফরীশীদের কাছে নিয়ে গেল৷
14 য়ে দিন যীশু মণ্ড তৈরী করে ঐ লোকটির চোখে লাগিয়ে তাকে দৃষ্টিশক্তি দান করেন, সে দিনটি ছিল বিশ্রামবার৷
15 তাই ফরীশীরা আবার তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কিভাবে তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলে?’লোকটি উত্তর দিল, ‘তিনি মণ্ড তৈরী করে আমার চোখে লাগিয়ে দিলেন, আমি চোখ ধুয়ে ফেলবার পর দেখতে পেলাম৷’
16 ফরীশীদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, ‘এই লোক ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে নি, কারণ এ বিশ্রামবারের নিয়ম মানে না৷’আবার অন্যরা বলল, ‘একজন পাপী কিভাবে এই সব অলৌকিক কাজ করতে পারে?’ তাই এই নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিল৷
17 এরপর ইহুদী নেতারা অন্ধ লোকটিকে আবার জিজ্ঞেস করল, ‘য়ে লোকটি তোমার দৃষ্টিশক্তি দিয়েছে, তার বিষয়ে তুমি কি বল?’লোকটি বলল, ‘তিনি একজন ভাববাদী৷’
18 লোকটির বাবা-মাকে না ডাকা পর্যন্ত ইহুদীরা বিশ্বাস করতে চাইল না য়ে, সে অন্ধ ছিল আর এখন দৃষ্টিশক্তি লাভ করেছে৷
19 তারা তার বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘এই কি তোমাদের সেই ছেলে যার বিষয়ে তোমরা বলে থাক য়ে, সে অন্ধ হয়ে জন্মেছে? তাহলে এ কিভাবে এখন দেখতে পাচ্ছে?’
20 এর উত্তরে তার বাবা-মা বলল, ‘আমরা জানি এ আমাদের ছেলে, আর এ অন্ধই জন্মেছিল৷
21 কিন্তু এখন কিভাবে দেখতে পাচ্ছে আমরা জানি না, আর এও জানি না য়ে কে একে দৃষ্টিশক্তি দিয়েছেন৷ একেই জিজ্ঞেস করুন! এর যথেষ্ট বয়স হয়েছে, নিজের বিষয় নিজে ভালোই বলতে পারবে৷’
22 ইহুদী নেতাদের ভয়ে, তার বাবা-মা এই কথা বলল৷ কারণ ইহুদী নেতারা আগেই স্থির করেছিল য়ে কেউ যদি যীশুকে মশীহ বলে স্বীকার করে, তবে সে প্রার্থনা সভা থেকে বিতাড়িত হবে৷
23 এ জন্যই তার বাবা-মা বলেছিল, ‘এর যথেষ্ট বয়স হয়েছে, আপনারা একেই জিজ্ঞেস করুন৷’
24 তাই য়ে অন্ধ ছিল, ইহুদী নেতারা তাকে দ্বিতীয় বার ডেকে বলল, ‘ঈশ্বরকে মহিমা প্রদান কর৷ সত্য বল আমরা জানি ঐ লোকটা পাপী৷’
25 তখন য়ে অন্ধ ছিল সে বলল, ‘তিনি পাপী কি না তা আমি জানি না৷ আমি কেবল একটা বিষয় জানি, য়ে আমি অন্ধ ছিলাম, কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি৷’
26 তখন ইহুদী নেতারা তাকে বলল, ‘সে তোমাকে কি করেছিল? সে কিভাবে তোমাকে দৃষ্টিশক্তি দিল?’
27 সে তাদের বলল, ‘আমি আগেই তোমাদের বলেছি, কিন্তু তোমরা আমার কথা শোন নি৷ তবে আবার কেন শুনতে চাইছ? তোমরাও কি তাঁর শিষ্য হতে চাও?’
28 তখন তারা তাকে তাচ্ছিল্য় করে বলল, ‘তুই তার শিষ্য, কিন্তু আমরা মোশির শিষ্য৷
29 আমরা জানি ঈশ্বর মোশির সঙ্গে কথা বলেছিলেন, কিন্তু এই লোকটা কোথা থেকে এসেছে তা আমরা জানি না৷’
30 এর জবাবে লোকটি তাদের বলল, ‘কি আশ্চর্যের বিষয় য়ে, তিনি কোথা থেকে এসেছেন তা আপনারা জানেন না অথচ তিনি আমায় দৃষ্টিশক্তি দান করলেন৷
31 আমরা জানি য়ে ঈশ্বর পাপীদের কথা শোনেন না৷ কিন্তু ঈশ্বর তাঁর কথা শোনেন, য়ে ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং ঈশ্বর যা চান তাই করে৷
32 একজন জন্মান্ধকে কেউ য়ে দৃষ্টিশক্তি দান করেছে, একথা কেউ কোন দিন শোনে নি৷
33 ঐ মানুষটি যদি ঈশ্বরের কাছ থেকে না আসতেন তবে তিনি কিছুই করতে পারতেন না৷’
34 এর উত্তরে তারা তাকে বলল, ‘তুই তো পাপেই জন্মেছিস! আর তুই কিনা আমাদের শিক্ষা দিতে চাইছিস?’ তারপর তারা তাকে তাড়িয়ে দিল৷
35 যীশু শুনতে পেলেন য়ে ইহুদী নেতারা তাকে সমাজ-গৃহ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে৷ তখন যীশু তার দেখা পেয়ে তাকে বললেন, ‘তুমি কি মানবপুত্রের ওপর বিশ্বাস কর?’
36 সে উত্তর দিল, ‘মহাশয়, তিনি কে? আমায় বলুন, আমি য়েন তাঁকে বিশ্বাস করতে পারি৷’
37 যীশু তাকে বললেন, ‘তুমি তাঁকে দেখেছ আর তিনিই এখন তোমার সঙ্গে কথা বলছেন৷’
38 তখন সে বলল, ‘প্রভু, আমি বিশ্বাস করছি৷’ এবং সে তাঁর সামনে নতজানু হয়ে উপাসনা করল৷
39 যীশু বললেন, ‘বিচার করতে আমি এ জগতে এসেছি৷ আমি এসেছি যাতে যাঁরা দেখতে পায় না তারা দেখতে পায়, আর যাঁরা দেখতে পায় তারা য়েন অন্ধে পরিণত হয়৷’
40 ফরীশীদের মধ্যে কয়েকজন যাঁরা যীশুর সঙ্গে ছিল, তারা একথা শুনে তাঁকে বলল, ‘নিশ্চয়ই আপনি বলতে চান নি য়ে আমরাও অন্ধ?’
41 যীশু তাদের বললেন, ‘তোমরা যদি অন্ধ হতে তাহলে তোমাদের কোন পাপই হত না৷ কিন্তু তোমরা এখন বলছ আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাই তোমাদের পাপ রয়ে গেছে৷’

Top |  |  পরের অধ্যায় - Next Chapter  |  | Index |  | Home
Full online version here [with search engine, multilingual display and audio Bible]